এম.এ আক্কাছ নূরী
বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে গত দুমাস করোনার লকডাউনের কারণে বহির্বিশ্বের সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বর্তমানে লকডাউন শিথিল করে বিমান চলাচলের গ্রীণ সিগন্যাল দেয়ার সাথে সাথে, এ দেশের কিছু ধনীরা চার্টাড বিমান ভাড়া করে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন।
তারা এখন পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাকেই মুখ্য মনে করছেন। মৃত্যু যে কোন মূহুর্তে, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আসতে পারে সে কথা একটি বারও চিন্তা করছেন না। একবারও ভাবছেন না, এতোদিন এদেশেরই অক্সিজেন তাদের ফুসফুসটাকে সক্রিয় রেখেছিল। মৃত্যুর পর লাশটাকে আবার এ দেশেই ফেরত পাঠাবে। সারা জীবন এ দেশের টাকাগুলোই বিদেশে গিয়ে খরচ করেছেন। আল্লাহর এত গজব, এত শিক্ষার পরও ওদের হুশ ফিরে আসছে না। এতকিছুর পরও ওদের বিদেশপ্রেম কমে নি। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ একথাটা সবার স্মরণ রাখা জরুরী।
অথচ তারা আন্তরীক হয়ে চেষ্টা করলে, এ দেশেও উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো অত্যাধুনিক হাসপাতাল নিজেরাই তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু সে চিন্তা তারা কখনই করে নি। ইতিমধ্যে এস আলমসহ যারা হাসপাতাল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বা করবেন, তাদের সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাই। আর যেসব শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ধনীদের এ চিন্তা এখনও মাথায় ঢুকে নি, সুস্থ্য হওয়ার পর দয়া করে আন্তরীকভাবে দেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ার চেষ্টা করুন।
একদিন সবাইকে এ মায়াময় রঙ্গীন দুনিয়া ছেড়ে কবরে যেতে হবেই। আপনারা না থাকলেও, এ হাসপাতাল থেকে যাবে। কিয়ামত পর্যন্ত সদকায়ে জারিয়া চালু থাকবে। অন্তত এটার ওসিলায় হলেও পরপারে শান্তি পেতে পারেন এবং দেশ ও দেশের মানুষ অবশ্যই আপনাদের এ অবদান আজীবন মনে রাখবে। কিয়ামত পর্যন্ত এ একটি ভাল কাজের জন্যই স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন। আল্লাহপাক আপনাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।
লেখক: প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক, pnewsbd.com
চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, দৈনিক বর্তমান কথা
