পিনিউজ ডেস্ক:
বর্ষা আসার আর সপ্তাহখানেক বাকি, এরইমধ্যে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু পৌঁছেছে কক্সবাজার উপকূলে।
এদিকে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
২৫ জ্যৈষ্ঠ সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, পূবালী ও পশ্চিমা লঘুচাপের সংমিশ্রণের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ সময় বাতাসে বেশ জলীয় বাষ্প থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) এর প্রভাব এখনও পড়তে শুরু করেনি। এখন বর্ষা কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে, অবস্থা অনুকূলও রয়েছে। ১২-১৮ জুনের মধ্যে দেশজুড়ে বর্ষার বিস্তার ঘটবে।”
এ আবহাওয়াবিদ জানান, বর্ষা এলেও সব সময় বৃষ্টি হবে এমন নয়। কখনও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দুর্বল থাকবে, কখনও সক্রিয় হবে। এর প্রভাবে কখনও বৃষ্টি থাকবে, কখনও থাকবে না।
রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজশাহী অঞ্চলে বিরাজ করছে মৃদু তাপ্রবাহ। বিরাজমান তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন থাকতে পারে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে। বর্ষা এলেও কোথাও কোথাও আবহাওয়াগত কারণে থাকবে ভ্যাপসা গরমও।
মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বর্ষা শুরুর এ সময়ে দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির সময় বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ছে। এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এ ধরনের দুর্যোগ থেকে প্রাণহানির সংখ্যা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
