এম সাইফুল ইসলাম নেজামী : আরেক জন উবাই ইবনে সলুলের খলিফা বিদায় হল। যুল খুয়াই ছেরার বাচ্চার বিচার দেখল কুল বিশ্ব। সরল প্রাণ বাঙ্গালী মুসলমানদের ইসলামের দোহাই দিয়ে নবী দ্রোহী বানানোর কারিগর গগণস্পর্শী লজ্জা আর ঘৃণা নিয়ে পৃথিবী থেকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হল। যুগে যুগে দুশমনে রাসূলদের এই রকম নিন্দনীয় পরিনতি হয়ে আসছে, এটায় ইসলামের শিক্ষা। জিন্নাহ টুপি মাথায় দিয়ে, গাল ভরা দাড়ি রেখে সব নির্লজ্জ অপকর্ম এতটুকু ভাবনি। ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি বানিয়ে ইসলামকে ব্যাবহার করে মুসলমানদের জঙ্গিবাদের অসহ্য অপবাদগ্রস্ত করেছ। আজ কোথায় তোমার সেই লাঠিয়াল বাহিনী? কোথায় তোমার লালিত রগকাটার গোষ্ঠী? কেউ তো তোমায় বাঁচাতে পারল না! তোমার দেহ থেকে মাথা যখন ছিরে যেতে চাচ্ছে, কেউ তো গেলনা একটু সাহায্য করতে। তুমি অনেক দিন নিরহ মানুষের রগ তোমার পোষ্য শিবির ক্যাডার দিয়ে কেটেছ। আজ তোমার রগ জল্লাদ দ্বারা কাটা হচ্ছে। কি সুন্দর মাওলার বিচার! নিজ কর্মের স্পষ্ট প্রতিফল। কেমন লাগছে তোমার? খুব কষ্ট বুঝি? হ্যাঁ এমন কষ্ট পেয়েছিল সেই সব মানুষ। যাদের তুমি ৭১ সালে পাকিস্তান বাহীনিকে দিয়ে নির্যাতন করে ছিলে। জানি তোমার পরিবার আজ ভারাক্রান্ত। হ্যাঁ অত্যন্ত শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করেছে তাদের মধ্যে । হবেনা বা কেন? তুমি তাদের অনেক আপন, তাই তারা আজ অশ্রুজলে ভাসছে। কিন্তু সারাদেশ আজ আনন্দে বিজয় মিছিল করছে। ঠিক যেমনটি তুমি ৭১ পরবর্তী অসহায় কে লাঞ্চিত করে নিজে খুশি অনুভব করতে আর নির্যাতিত পরিবার আর্তনাদ করত।আজ তোমার পরিবারকে সেই কৃতকর্মের ফল ভুগ করতে হচ্ছে। জেনে রাখবে পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়েনা। তাই বলছি কান্না করুক তোমার আত্মীয় স্বজন। বুঝুক তুমি কত নিষ্ঠুর ছিলে মানুষের প্রতি। জানুক তারা তোমার দেওয়া কষ্ট মানুষকে কতটুকু ব্যাথিত করেছিল। তোমার এই বিচার যতেষ্ট নয়, তোমার অপরাধ অনুযায়ী। তোমার একবার নয় বারবার ফাঁসি হওয়া দরকার। কারণ তুমি শুধু একজন যুদ্ধাপরাধীই নও তুমি নবী দ্রোহী ও অলী বিদ্ধেষীও বটে । তাই তোমার ফাঁসি বারবার হওয়া উচিৎ। আবার তোমাকে অনেকে শহীদ উপাধি দিয়ে তোমার মাজারে গিয়ে দোয়া মাগবে। পক্ষান্তরে তোমরাই সারা জিন্দেগী মাজার বিরোধী ভ্রান্ত ফাতওয়া দিয়ে মানুষকে ওলী আল্লাহর কাছ থেকে দূরে রাখার ব্যার্থ চেষ্টায় ব্যাস্ত ছিলে। তোমাকে যারা শহীদ বলবে তারা নিতান্তই বেকুব। কারণ যেকিনা নবী করিম (দঃ) কে জিন্দা নবী মানে না সে কিভাবে কবরে জীবিত থাকতে পারবে? কারণ শহীদরা তো জিন্দা। তো নবির মর্যাদা বেশী না শহীদের? নিশ্চয়ই প্রিয় নবী (দঃ) এর। তো শহীদরা জিন্দা থাকতে পারলে প্রিয় নবী (দঃ) কেন নয়? আরে ভাই শহীদ তাকে বলে যে ঈমান সহকারে আল্লাহর রাস্তায় প্রাণ উৎসর্গ করেন এবং সেই কিয়ামতের ময়দানে মানুষের কৃতকর্মের স্বাক্ষী হবেন। এই ক্ষেত্রে বলার প্রয়াস পাচ্ছি যার মধ্যে রাসূল (দঃ) এর ব্যাপারে একটুও সন্দেহ থাকবে সে কাফের। আর নিজামীরা তো সারা জিন্দেগী কাটিয়েছে নবী ও অলীর শানে বেয়াদবী মুলক বক্তব্যের মাধ্যমে। তাই বলছি সে কি মুসলিম আছে না বেইমান হয়েছে সে বিচার আপনাদের উপর ন্যাস্ত করলাম। অতএব যারা মতিউর রহমান নিজামীকে শহীদ বলবে তারা ঠিক নাস্তিক রাজিব হায়দারকে শহীদ বলার মত। .
লেখকঃ শিক্ষার্থী – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিএ (সম্মান) শেষ বর্ষ।
