বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে রওয়ানা হন বলে শীর্ষ নিউজকে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে এ মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে না পারায় তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ২ জুন খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করে তাঁকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। এর আগে পঞ্চম দফায় তাঁর পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানো হয়।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
